শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড, শিক্ষকই জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাতা

বাংলাদেশ নব জাতীয়করণ কৃত বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য জোট

বাংলাদেশ নব জাতীয়করণ কৃত বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য জোট দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সমতা প্রতিষ্ঠা এবং প্রাথমিক শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত একটি অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠন।
আমরা বিশ্বাস করি, প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি সুদৃঢ় না হলে জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। সেই লক্ষ্যে আমাদের সংগঠন শিক্ষকদের অধিকার, ন্যায্যতা এবং গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

আমাদের গর্বিত অর্জন

শিক্ষার ন্যায্যতা ও জাতীয় উন্নয়নের পথে আমাদের সাফল্যের ধারা

বাংলাদেশ নব জাতীয়করণ কৃত বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য জোট দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন করেছে।
জাতীয়করণ, আইনগত লড়াই, নীতিনির্ধারণ ও সংগঠন গঠনের মাধ্যমে আমরা প্রাথমিক শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছি।
এই সাফল্য শুধুমাত্র একটি সংগঠনের নয়—এটি দেশের প্রতিটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সম্মিলিত গৌরব।

২৬১৯৩টি বিদ্যালয় সরকারিকরণ

জাতীয়করণ আন্দোলনে সফল ভূমিকা রেখে শিক্ষার মান উন্নয়নে ঐতিহাসিক অবদান।

৫০০১ শিক্ষক আইনি ন্যায়বিচার লাভ

গেজেট বঞ্চিত শিক্ষকদের পক্ষে আদালতে রায় এনে ন্যায্য অধিকার পুনঃস্থাপন।

৫১ সদস্যের পরিষদ ও দেশব্যাপী কমিটি

শক্তিশালী সংগঠন গঠনে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি সক্রিয়করণ।

নীতিনির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সাথে অংশগ্রহণ

শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে নীতিমালায় সক্রিয় অংশগ্রহণ ও লিয়াজো।

আমাদের সম্পর্কে

প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে একত্রিত শক্তি — একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য

বাংলাদেশ নব জাতীয়করণ কৃত বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য জোট (BNNNGPTS) হল একটি অরাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন যা দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় সমতা প্রতিষ্ঠা, শিক্ষক শিক্ষিকার ন্যায্য অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গ্রামীণ শিক্ষা অবকাঠামো উন্নয়নে নিবেদিত। সংগঠনটি বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে, এবং দেশের শিক্ষক সমাজের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। আমরা দৃঢ়বিশ্বাসী যে, প্রাথমিক শিক্ষা যদি শক্তিশালী না হয়, তবে একটি জাতির সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। একটি শক্তিশালী শিক্ষা ব্যবস্থা জাতির অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক উন্নতির ভিত্তি গড়ে তোলে। সেই লক্ষ্যে, আমাদের সংগঠন প্রতিটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর জন্য সুষম ও উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে।

আমাদের কাজের ক্ষেত্র

দেশের সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সক্রিয় কার্যক্রম
দেশের বাইরেও প্রবাসী শিক্ষকদের সংযুক্তিকরণ ও সহযোগিতা
শিক্ষা খাতের অবকাঠামো ও প্রশাসনিক কাঠামো উন্নয়নে সরকারকে পরামর্শ প্রদান

আমাদের ভিশন

সবার জন্য শিক্ষা, সবার জন্য সম্মান — একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য

আমরা এমন একটি বাংলাদেশ নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে দেশের প্রতিটি শিশুর জন্য শিক্ষা হবে একটি অধিকার, বিলাসিতা নয়। প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি শিশুর জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং সকল শিক্ষককে সম্মানিত ও স্থিতিশীল পেশাগত পরিবেশে শিক্ষাদানের সুযোগ দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। শিক্ষা হবে উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি এবং সকল বৈষম্যের অবসান ঘটাবে।

ভিশনের মূল লক্ষ্য:

প্রতি গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন

বাংলাদেশের ৮৭,০০০ গ্রামে ন্যূনতম একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সর্বজনীন শিক্ষা নিশ্চিত করা।

সমান সুযোগ ও সরকারি সুবিধা প্রদান

জাতীয়করণ ও সরকারিকরণ প্রক্রিয়ায় সকল শিক্ষকের জন্য সমান সুযোগ, গ্রেডেশন, টাইমস্কেল ও পেনশনসহ সকল সরকারি সুবিধা নিশ্চিত করা।

প্রযুক্তির ব্যবহার ও মানসম্মত শিক্ষা

প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও গুণগত মান উন্নয়নে কাজ করে একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

আমাদের মিশন

শিক্ষকের মর্যাদা ও শিক্ষার মান উন্নয়নে নিরলস পথচলা

আমাদের মিশন হল দেশের সকল বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে শক্তিশালী ও টেকসই ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করা।

মিশনের মূল স্তম্ভসমূহ :

জাতীয়করণ দাবি বাস্তবায়ন

গেজেট থেকে বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর দ্রুত জাতীয়করণ এবং তাদের সরকারি স্বীকৃতি ও সকল সুবিধা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা।

শিক্ষক অধিকার রক্ষা ও পুনঃগেজেট প্রদান

৫০০১ জন প্রধান শিক্ষককে পূর্ণ গেজেট প্রদান এবং ১০৪০০০ সহকারী শিক্ষককে জাতীয়করণ নীতিমালার আলোকে সরকারিকরণ ও সমান সুযোগ প্রদান নিশ্চিত করা।

গ্রামীণ শিক্ষা কাঠামোর উন্নয়ন

গ্রামের অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ বাড়ানো, বিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনায় সরকারের সাথে সমন্বয় সাধন।

শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণ

শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত সেমিনার, কর্মশালা এবং আধুনিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন।

আইনি সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান

শিক্ষকদের অধিকার রক্ষায় আদালতসহ সকল আইনি প্রক্রিয়ায় সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান, যাতে তারা ন্যায্য অধিকার পেতে সক্ষম হন।

প্রতিষ্ঠাতা ও নেতৃত্ব

কোহিনুর আক্তার

সভাপতি

মোঃ কামাল উদ্দিন

উপদেষ্টা

সাধারণ প্রশ্নোত্তর

১. বাংলাদেশ নব জাতীয়করণ কৃত বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য জোট কী?

বাংলাদেশ নব জাতীয়করণ কৃত বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য জোট একটি অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠন, যা দেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সমতা আনার লক্ষ্যে কাজ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও বৈষম্যহীন করে তোলা।

2. সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা কে?

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা হলেন জনাব কামাল উদ্দিন, যিনি দেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের অধিকার রক্ষায় দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে অবদান রেখেছেন।

3. সংগঠনটি কীভাবে কাজ করে?

আমাদের সংগঠন দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় কাজ করে থাকে। আমরা নিয়মিতভাবে সরকারের সাথে লিয়াজো করি, শিক্ষক শিক্ষিকার অধিকার নিয়ে কাজ করি, এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, কর্মশালা এবং আইনি সহায়তা প্রদান করি। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য উপযুক্ত কর্মপরিবেশ তৈরি করা এবং শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা।

4. সংগঠনের সদস্য হতে কীভাবে যোগদান করবেন?

সংগঠনের সদস্য হতে আপনাকে আমাদের প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করতে হবে অথবা আমাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে থাকা সদস্যপদ আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। সদস্য হিসেবে যুক্ত হলে আপনি আমাদের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন।

5. সংগঠনের কার্যক্রমে কী ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয়?

আমরা শিক্ষকদের বেতন, পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ, আইনি সহায়তা এবং বিভিন্ন সরকারি সুবিধা নিয়ে কাজ করি। এছাড়াও, শিক্ষকদের জন্য পেশাগত উন্নয়ন কর্মশালা এবং সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

6. প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির জাতীয়করণ সম্পর্কিত আপনার ভূমিকা কী?

আমাদের সংগঠন দেশের ২৬,193টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণের জন্য সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া, আমরা ৫০০১ জন প্রধান শিক্ষকের পক্ষে উচ্চ আদালতে আইনি রায় লাভ করেছি এবং ১০৪০০০ সহকারী শিক্ষককে ন্যায্য সুযোগ ও সুবিধা প্রদান করতে সরকারের নীতিমালায় সংশোধন আনার জন্য কাজ করছি।

7. সংগঠনের ভবিষ্যত লক্ষ্য কী?

আমাদের ভবিষ্যত লক্ষ্য হলো দেশের সকল গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা, শিক্ষকদের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করা, এবং দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং মান উন্নয়নে কাজ করা।

8. কীভাবে আমি সাহায্য করতে পারি বা অবদান রাখতে পারি?

আপনি আমাদের কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিতে পারেন, আপনার অভিজ্ঞতা বা বিশেষ দক্ষতার মাধ্যমে সাহায্য করতে পারেন, অথবা আমাদের সদস্য হতে পারেন এবং সংগঠনের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন। আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে দান বা অনুদান করতে পারেন।

9. আপনার সংগঠন কি শুধুমাত্র শিক্ষক সমাজের জন্য কাজ করে?

না, আমাদের সংগঠন মূলত শিক্ষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে, তবে আমরা জনগণের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সহায়তা প্রদান করি।

10. আইনি সহায়তা কীভাবে পাওয়া যায়?

সংগঠনটি প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আইনি সহায়তা প্রদান করে, বিশেষত যাদের জাতীয়করণ, বেতন-বৃদ্ধি, বা পদোন্নতির বিষয়ে সমস্যায় পড়েছে। আইনি সহায়তার জন্য আমাদের সংগঠনের সেক্রেটারি বা আইনি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।